বান্দরবানের লামা পেীরসভা এলাকায় বন্যহাতির দল আক্রমন চালিয়ে তছনছ করে দিয়েছে ২৫টি বসতঘর। গত বুধবার রাতে ১৫-২০টি বন্যহাতির দল লামা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের চম্পাতলী ও টিটিএন্ডডিসি গ্রামে এ তান্ডব চালায়।
হাতির দলটি বর্তমানে ওই এলাকায় অবস্থান করায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে জীবনযাপন করছেন। আবার কেউ কেউ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গহীন পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল বুধবার রাতে লোকালয়ে নেমে পড়ে। হাতিগুলো প্রথমে টিটিএন্ডডিসি গ্রামের নুরুজ্জামান ও মো. দিদার মিয়ার বসতঘর ভাংচুর করে। পরে চম্পাতলী গ্রামে এসে সাংবাদিক বশির,রফিক এবং জাহাঙ্গীর আলম,খোরশেদ আলম,মহশিন রেজা,জাহেদুল ইসলাম,বাসন্তী দাস,বাহাদুর দাস, মো. শাহ আলম,মো. এরশাদ, মোছেনা ,আনিস, মো. করিম,আঙ্গুরা বেগম, অক্রয় মার্মা,আজমল হোসেন,হাফেজ আরিফ,শাহজামাল,রেজুয়ারা বেগম, মো. জাফর,মো. কাশেম। বসতঘরে তান্ডব চালিয়ে তছনছ করে দেয় বন্যহাতির দল। এ সময় হাতিগুলো কৃষকের কলা ও আম বাগান তচনছ করে এবং ঘরে থাকা ধান খেয়ে ফেলে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ধুইল্যাপাড়ায় বসতঘরে বন্যহাতির তান্ডব মো. ইলিয়াছ সওদাগরের মেয়ে মেহেরুন্নেছা (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হন। আহত হন তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও ছোট মেয়ে তাসিয়া বেগম (৫)।
এদিকে হাতির আক্রমেনের খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ ও পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম ঘঠনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীসহ রাতভর জাগ্রত থেকে লোকালয় হতে অন্যত্র হাতি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লামাতে হাতির তান্ডবে প্রাণহানিসহ ঘরবাড়ি,ক্ষেত-ক্ষামার,ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও লামা বন বিভাগের এখনও টনক নড়েনি।
স্থানীয় সাবেক কমিশনার আবু তাহের মিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,বনকর্মকর্তা রফিকুল ইসালমকে জানানোর জন্য ফোন করলে তিনি কল রিসিভ করেননি এবং অধ্যবদি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে আসেননি।
ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,লোকালয় হতে হাতিগুলোকে অন্যত্র হাতি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
পাঠকের মতামত